কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের কারণে এইচএসসির বেশ কিছু বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সরকার পতনের পর সংশোধিত নতুন সময়সূচি দিয়েও পরীক্ষা নিতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর স্থগিত আবারও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তাতেও বাধে বিপত্তি। কারণ অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর দাবি, আন্দোলনে অনেক সহপাঠী নিহত হওয়ায় পরীক্ষা দিতে তারা ‘মানসিকভাবে’ অপ্রস্তুত। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অটোপাসের দাবি তাদের। যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পরীক্ষার্থী ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর মতামত শুনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা গেছে, নতুন সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু গত ১৫ আগস্ট সূচি প্রকাশের পর থেকেই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবারও অটোপাসের দাবি নিয়ে সারা দেশে রাস্তায় নামেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের সামনেও বিক্ষোভ করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের অনেক সহপাঠী আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছেন। তারা চিকিৎসাধীন। তা ছাড়া বিভিন্ন থানায় রাখা প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশ নিতে চান না তারা।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা অটোপাস চাচ্ছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান বা কর্মকর্তারা এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। এজন্য শিক্ষার্থীদের দাবি চিঠি আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দেবে, আমরা সেটাই বাস্তবায়ন করব।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নতুন শিক্ষা সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ কালবেলাকে বলেন, এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দুই পক্ষেরই মতামতই শুনেছি। সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার
পাঠকের মতামত